
Puri Jagannath Mandir : শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
Puri Jagannath Mandir : শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নবগঠিত বিজেপি সরকার। রবিবার সরকারের তরফে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় জানানো হয়েছে, শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে মদ ও আমিষ খাবার বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে বর্তমানের পানশালাগুলিও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভাবাবেগকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সরকার।
রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “জগন্নাথ মন্দিরের ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও রকম আমিষ খাবার ও মদ বিক্রি করা যাবে না। এমনকি ওই সীমানার মধ্যে থাকা সমস্ত বারগুলির উপরও এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।” মন্ত্রী আরও জানান, জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Mandir) থেকে গুন্ডিচা মন্দিরের সংযোগকারী ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী গ্র্যান্ড রোড (বড় ডান্ডা) এর উপরেও কোনও মদের দোকান বা আমিষ বিক্রির অনুমতি থাকবে না।

মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝির মন্ত্রিসভার সদস্য পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন পুরীকে একটি আদর্শ ধর্মীয় শহর হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “আমরা পুরীকে ঢেলে সাজাতে চাই। একটি ধর্মীয় শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে পুরীকে। সেই লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনাও রয়েছে।” এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বড় ডান্ডা রাস্তার দুপাশের সমস্ত ভবন একই উচ্চতায় এবং একই নকশায় সাজানো হবে। বেসরকারি বাড়ির মালিকদের সাথেও এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। এই পবিত্র করিডোরের সামগ্রিক উন্নতির লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যেই নগরোন্নয়ন বিভাগের সাথে আলোচনা শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, অন্যান্য সমুদ্রতটের মতোই, সমুদ্র ঘেঁষা পুরীর মন্দির (Puri Jagannath Mandir) সংলগ্ন এলাকায় এতদিন মদ, মাংস ও মাছের বিপুল সম্ভার দেখা যেত। আইনমন্ত্রীর দাবি, এই ঘটনায় বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এখানে আসা পুণ্যার্থীরা। এতদিন পুণ্যার্থীদের সেই দাবিকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে এবার মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সরকারের তরফে জোর দিয়ে জানানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত পুরীর ধর্মীয় ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি শুধু মন্দিরের পবিত্রতাই রক্ষা করবে না, বরং দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের জন্য একটি পবিত্র ও নির্মল পরিবেশ নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।