Loksova Election : লোকসভা ভোটের প্রচারকে কেন্দ্র করে কেশিয়াড়ীতে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের দ্বন্দ্ব প্রকট।

Loksova Election : লোকসভা ভোটের প্রচারকে কেন্দ্র করে কেশিয়াড়ীতে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের দ্বন্দ্ব প্রকট। কমিশনের অভিযোগ বিজেপির প্রচার মিছিলে ভিডিও করার সময় কমিশনের কর্মীর ফোন কেড়ে নিয়েছে বিজেপি নেতারা। অপরদিকে বিজেপির দাবি কোন প্রমাণপত্র ছাড়া বিজেপি প্রার্থীর রুদ্ধদ্বার কর্মী বৈঠকে ভিডিও করার জন্য এক ব্যক্তির মোবাইলফোন জমা রেখেছেন প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। কমিশন ও দলের এই চাপানউতোরের মধ্যে বুধবার কেশিয়াড়ি থানায় দেখা করলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
Loksova Election : মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।

এদিন দাঁতন বিধানসভার মোহনপুরে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে কেশিয়াড়ি থানায় আসেন মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী। কথা বলেন পুলিশের সঙ্গে । বিজেপির অভিযোগ, গত রবিবার কেশিয়াড়িতে প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছিলেন। প্রচারের ফাঁকে কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপির অভিযোগ, তখন রুদ্ধদ্বার বৈঠকের ভিডিও করছিলেন এক ব্যক্তি। তার কোনও আইডি কার্ডও ছিল না। অনুমতি ছাড়া ভিডিও করার অভিযোগ তুলে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই মোবাইল প্রার্থী নিজেই রেখেছিলেন।
মোবাইল ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের চিঠি
বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের দ্বন্দ্ব প্রকট।উল্লেখ্য, মোবাইল ছাড়িয়ে নেওয়ার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন একটি লিখিত চিঠি পাঠায় কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া বিজেপির কেশিয়াড়ি ৪ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সন্তু গায়েনকে। তবে তিনি চিঠি ধরেননি। বিজেপির অভিযোগ, সন্তু গায়েন চিঠি না ধরায় পুলিশকে এই কাজে ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে ধমক ও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়েই বাঁধে গোলমাল ।
ঘটনার খবর পেয়েই কেশিয়াড়িতে আসেন গেরুয়া প্রার্থী।

বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের দ্বন্দ্ব প্রকট।অপরদিকে ঘটনার খবর পেয়েই কেশিয়াড়িতে আসেন গেরুয়া প্রার্থী। তিনি জানান, অনুমতি ছাড়া বৈঠকের ভিডিও করা হচ্ছিল। যিনি ভিডিও করছিলেন তার কোনও প্রমাণপত্র ছিল না। তাই মোবাইল কেড়ে রাখা হয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশন বিজেপির মিছিল থেকে ওই ব্যক্তির ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে। এদিন অগ্নিমিত্রা বলেন, পুলিশের এমন আচরণের প্রতিবাদ জানাতেই কর্মসূচি ছাড়াই কেশিয়াড়িতে এলাম। আগেই জানিয়েছিলাম দলের কার্যকর্তারা যখনই সমস্যায় পড়বেন তখনই তাদের পাশে থাকব। দিদিভাই সব সময় পাশে থাকবে।
পুলিশের দাবি, আমরা শুধুমাত্র চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছি
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আমরা শুধুমাত্র চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছি কাউকে ধমক চমক দেওয়া হয়নি, বাকি পুরো বিষয় রিটার্নিং অফিসার বা নির্বাচন কমিশন থেকে বুঝে নেবেন।

তবে এই বিষয়ে প্রার্থী অগ্নিমিত্রার অগ্নি রূপ দেখে অনেকটাই সাহস ও উৎসাহ পেয়েছেন বিজেপি কর্মীরা তা স্পষ্ট এদিনের কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে।