রাউতাড়া গ্রাম থেকে পঁচেট গামী রাস্তা বেহাল
Demand for repair of dilapidated roads : দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে পটাশপুর ২ ব্লকের রাউতাড়া গ্রাম থেকে পঁচেট গামী রাস্তা।বেহাল এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা।স্থানীয়দের দাবি, রাস্তার বেহাল দশার ফলে প্রতি বছর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের৷ সবকিছু জেনেও হুঁশ ফিরছে না স্থানীয় প্রশাসনের।

Demand for repair of dilapidated roads : কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন ।
উল্লেখ্য,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের রাউতাড়া থেকে পঁচেটগামী রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে।অভিযোগ রাস্তা সংস্কার করার প্রয়োজন থাকলেও কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন । বেহাল এইরাস্তার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এতটাই সঞ্চার হয়েছে যে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মানুষরা ।রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে স্থানীয় প্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় শতাধিক পড়ুয়া সহ গ্রামবাসীরা।

দীর্ঘ ১০/১২ বছর আগে রাস্তাটি সারাই করা হয়েছিল।
Demand for repair of dilapidated roads : গ্রামবাসীদের দাবি,দীর্ঘ ১০/১২ বছর আগে রাস্তাটি সারাই করা হয়েছিল। তারপর ভেঙেচুরে একাকার। সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই। মাঝেমধ্যে বর্ষাকাল এলে মোরামের প্রলেপ দেওয়া হয়। তবে তা লোক দেখানো মাত্র। অথচ দু তিনটি গ্রামের স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলের যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রানের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ঘটনা তাদের প্রায় নিত্যদিনের সঙ্গী। ৯/১০ টি গ্রামের মানুষের ব্যাঙ্ক, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ায় একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বাদের দুয়ারে রেশনও বন্ধ এই গ্রামে।

Demand for repair of dilapidated roads : প্রতিবাদে সামিল গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রাজু বেরা
প্রতিবাদে সামিল গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রাজু বেরা বলেন, “ বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি৷ তাই আজ আমরা বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলাম।”
রাজ্য সরকার যখন বারবার রাজ্যের উন্নয়নের প্রতি নজর দেওয়ায় জোর দিচ্ছেন, তখন স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধিরা কেন প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার উন্নয়নে ব্যর্থ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। এ বিষয়ে পঁচেট ৪ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুরজিৎ মাইতির সঙ্গে বার বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
