Cyclone Dana : ঝড়ের গতি ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা দেখা যেতে পারে।

Cyclone Dana : ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে আগেই লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। স্বাভাবিকভাবেই নাগরিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কড়া নজর রেখেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলবর্তী এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর অনুযায়ী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরি এবং সাগরদ্বীপের মাঝে ল্যান্ডফল হতে পারে। সেই সময় ঝড়ের গতি ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা দেখা যেতে পারে।” বলাইবাহুল্য তাই কোনওভাবেই আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৯ জেলার সব স্কুল ও কলেজে ক্লাস বন্ধ থাকবে।’

স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে জারি করল পঠন পাঠন বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি
ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ৯ টা জেলার কথা বলা হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতা-এই ৯টি জেলায় সমস্ত স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।

Cyclone Dana : সতর্ক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ

ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে যাতে বিমান চলাচলে কোনও অসুবিধা না হয়, বা বিপদ এড়াতে কোনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে তৎপরতা বেড়েছে দমদম বিমানবন্দরেও।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বিমানগুলিকে কীভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, কোথায় রাখা হবে, উড়ান বাতিল হবে নাকি ঘুরপথে চলবে এই সমস্ত সামগ্রিক বিষয় নিয়ে এদিন হয় বৈঠক।

সাইক্লোন ‘দানা’র আশঙ্কায় শিয়ালদহ ডিভিশনে ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল
১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঝড়। তাই আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
রেল লাইনে জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। তাই জায়গায় জায়গায় পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পূর্ব রেল।
যে সব স্টেশনে বেশি প্রভাব পড়তে পারে, সেখানে পর্যাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ও টেলিকম স্টাফ মোতায়েন করা হচ্ছে। সেই তালিকায় থাকছে নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, হাসনাবাদ।
দিঘায় পর্যটকরা যাতে কেউ সমুদ্রে না নামতে পারে, তার জন্য সতর্ক প্রশাসন।

ইতিমধ্যে দিঘায় হাজির হয়েছেন বহু পর্যটক। ঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হতে পারে, সেই দৃশ্য দেখতেই এসেছেন অনেকে।
পর্যটকরা যাতে কেউ সমুদ্রে না নামতে পারে, তার জন্য সতর্ক প্রশাসন। দড়ি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেই দড়ির একপাশ থেকেই সমুদ্র দেখতে পাবেন পর্যটকরা।
নুলিয়ারা বলছেন, সমুদ্র উত্তাল হয়েছে, বড় বড় ঢেউ দেখা যাচ্ছে। পর্যটকদের নামতে দেওয়ার অনুমতি নেই।

পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫ টি ব্লকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত নীচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে সমুদ্রতট থেকে দূরে যেতে বলা হয়েছে।