
Clash between students of two colleges : সংঘর্ষ দুই কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে
Clash between students of two colleges : পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কলেজ ক্যাম্পাসে দুটি কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যপক উত্তেজনা। ভাঙচুর করা হয়েছে বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের অফিস। পাশাপাশি কলেজগেট সহ কলেজের বেশ কিছু সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুটি কলেজের প্রায় ১২ জনপরীক্ষার্থী । আহতদের ভর্তি করা হয়েছে বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

ঘটনার সূত্রপাত
ঘটনায় জানা গিয়েছে বেলদা কলেজে পরীক্ষার জন্য খড়গপুর কলেজ থেকে পরীক্ষার্থীরা এসেছিলেন ফার্স্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে। শুক্রবার পরীক্ষার শেষে অভিযোগ বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের অফিসে খড়্গপুর কলেজের ছাত্ররা ঢুকে আচমকা ভাঙচুর চালায়। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকা ও নকল করা নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলদা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে বেলদা এবং খড়গপুর কলেজে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

Clash between students of two colleges : ঘটনাস্থলে বেলদা থানার পুলিশ
এরপর বৃহস্পতিবারই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সমস্যার সমাধান করলেও শুক্রবার পরীক্ষার শেষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং দুই পক্ষই হাতাহাতি এবং মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজনের মাথা ফাটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তাদের বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের অফিসে ঢুকে ও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ, এরপর ঘটনাস্থলে আসে বেলদা থানার পুলিশ এবং বেলদা এসডিপিও রিপন বাউল এবং পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে, যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

খড়্গপুর থেকে পরীক্ষা দিতে আসার ছাত্রদের দাবি
খড়্গপুর থেকে পরীক্ষা দিতে আসা একটি ছাত্র তিনি বলেন আমরা পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসছিলাম এরপর হঠাৎই বেলদা কলেজের ইউনিয়নের ছেলেরা রড লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের স্টুডেন্টদের মারধর করা হয়, এমনকি পুলিশের সামনে মারপিট হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেই নি। গতকাল ঝামেলার পর আমাদের ছেলেদের ফোন চুরি হয়ে যায়, সেই নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল। টিএমসি ইউনিয়নের ছেলেরাই মারধর করেছে, আমাদের আহত ছেলেদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমরাই আক্রান্ত হয়েছি।

বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট মৌসম চক্রবর্তীর অভিযোগ
বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট মৌসম চক্রবর্তীর অভিযোগ খড়গপুর থেকে যেসব ছাত্ররা পরীক্ষা দিতে এসেছিল তাদের কয়েকজন সুস্থ অবস্থায় ছিল না গতকালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল, পরীক্ষা দিতে এসে কলেজের মধ্যে ঝামেলা তারাই সৃষ্টি করে, কালকে এই নিয়ে ঝামেলা হয় এবং সেটা মিটে যায়, আজকে আমাদের ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যদের কলেজের বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছিল যাতে কলেজে কোন রকম গন্ডগোল না হয়, সেই সুযোগ নিয়েই খরগোপুর কলেজের ছাত্ররা আমাদের ইউনিয়ন অফিস ভাঙচুর চালায় এবং কলেজের প্রচুর ক্ষতি করে। আমাদের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও আহত হয়েছে তাদের আক্রমনে। এমনকি পুলিশও কোন ভাবে আমাদের সহযোগিতা করেনি, যতটা পরিমাণ পুলিশি মোতায়েন প্রয়োজন ছিল তা দেওয়া হয়নি।
