Bhasur died trying to save his brother wife : একই পরিবারের চার চারজন পরপর বিদ্যুৎপৃষ্ঠ
একই পরিবারের চার চারজন পরপর বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়েছেন। ঘটনায় একজনের মৃত্যুতে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম মাণিক দাস। তাঁর বাড়ি কেশিয়াড়ির এলাসাই এলাকায়। এই ঘটনায় আহতদের প্রথমে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার বিকালের এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় গভীর শোকের ছায়া।

বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Bhasur died trying to save his brother wife : পাশে চলা কেশিয়াড়ির বিমলেশ্বর জিউর বারোয়ারী মেলার উৎসব প্রাঙ্গণেও শোকের ছায়া পড়েছে। শোক বিহ্বল মেলা কর্তৃপক্ষ প্রাঙ্গণে মাইক বন্ধ রেখেছেন। কিভাবে একের পর এক ব্যক্তি বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়েছেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Bhasur died trying to save his brother wife : এলাকায় বিদ্যুৎ দপ্তর ও পুলিশ হাজির
মানিক দাস, আহত হয়েছেন ওই পরিবারের বিপ্লব দাস, রিনা দাস ও গিরি বালা দাস, তবে ঠিক কিভাবে তারা বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হলো প্রত্যেকেই হাসপাতালে থাকার জন্য ঘটনা সঠিক ভাবে জানা যায়নি, হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছে এই খবর শোনার পর, ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ দপ্তর ও পুলিশ হাজির হয়েছে।

ঘটনা কেশিয়াড়ির এলাসাইতে
ঘটনায় জানা গিয়েছে কেশিয়াড়ির এলাসাইতে একই পরিবারের দুই ভাই একটি বাড়িতে দুটি দিকে আলাদা আলাদা ভাবে থাকেন। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রিনা দাস বাড়িতে একটি সরু লোহার তারে কাপড় রাখতে গিয়ে কোন ভাবে প্রথমে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে শাশুড়ি গিরি বালা দাস টেনে বার করতে গিয়ে গিরি বালা দাস ও বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে চলে আসেন। ছোট ভাই বিপ্লব দাস তাদের বাঁচাতে গিয়ে তিনি ইলেকট্রিক যুক্ত ওই তারের সংযোগে আসেন।

প্রতিবেশীরাই কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে
এরপর ভয়াবহ পরিনতি হয় সবাইকে উদ্ধার করতে এসে বড় ছেলে মানিক দাস ও দারুণভাবে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। এঁদের সকলের চিৎকারে ছুটে আসেন বাড়ির বড় বউ। তিনি চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। আতঙ্কিত হয়ে এরপর তড়িঘড়ি প্রতিবেশীরাই কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন ৪ আহতকে।সেখানেই ডাক্তার বাড়ির বড় ছেলে মানিক দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিদ্যুৎ দপ্তর বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখে।
বাকিদের চিকিৎসা শুরু হয়, এর মধ্যে ছোট ভাই বিপ্লব দাস গুরুতর আহত হন তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে বিদ্যুৎ দপ্তর বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখে। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। তাঁরা পুরো বিষয় তদন্ত শুরু করেন। মানিক দাসের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী রিনা দাস, ঘটনাচক্রে বাড়ি দুই বউর নামই রিনা দাস, এরপর কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ মৃতদেহ সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
